ঢাকা,রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে না যায় -উখিয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা মায়ানমারের নাগরিক। সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার জন্য মানবিক কারণে আমরা সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের অবশ্যই মায়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন,রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা মানসিক ও পারিবারিক ভাবে বিপর্যস্থ। স্থানীয় ক্ষতিগস্থদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশী বিদেশী এনজিওদের কে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টারর দিকে কক্সবাজারের উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগিদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন,রোহিঙ্গাদেরকে মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন।রোহিঙ্গাদের এখানে অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন মানুষ সুন্দরভাবে বাচাঁর জন্য যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে।রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যেন স্থানীয় জনগোষ্টীর সাথে মিশে না যায় সেই জন্য সরকার কাটা তারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কক্সবাজারে পরিবেশ,পানি,জলাশয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে হবে।
এসময় তিনি কুতুপালং এ রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন এলাকায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন এবং উখিয়ার ময়নার ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২ এলাকায় আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয় পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও তিনি ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন এলাকায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘ইর্মাজেন্সী এসিসট্যান্স প্রকল্প’-র মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারসহ বেশ কিছু রাস্তা ও স্থাপনা উদ্বোধন করেন।
এসময় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোহিঙ্গা শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে আলাপ করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ,স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত শরনাথী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারদ্বয় শামসুদ্দোজা ও মিজানুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামাল,উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খানসহ বিশ্ব ব্যাংক,এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইওএম, আইএমও, ইউনিসেফ  ও অন্যান্য দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, ক্যাম্প ইনচার্জ, এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: